গাজীপুর-৬ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুরবস্থা, অসহায় রোগীদের কষ্ট এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রচিন্তার একটি মানবিক রূপরেখা তুলে ধরে আলোচনায় এসেছেন। ব্যয়বহুল ক্যান্সার, কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষদের অভাব-অনটন এবং চিকিৎসা বঞ্চনার কঠোর বাস্তবতা তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
ড. হাফিজুর রহমান জানান, প্রায়ই অসংখ্য রোগী তার কাছে সাহায্যের আশায় আসেন। স্থানীয়ভাবে সামান্য সহায়তা করা গেলেও তা রোগীর প্রকৃত প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। তাদের মুখের অসহায়তা, চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারার যন্ত্রণা তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সেই মানবিক অনুভব থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন—রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে জনগণকে সার্বজনীন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চান।
তুরস্কের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তুরস্কে ক্যান্সার, কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ সব গুরুতর রোগের চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি, এমনকি ওষুধও। গরিব মানুষ রিপোর্ট নিয়ে গেলে বিনামূল্যে ওষুধ পায়। টেস্ট, অপারেশন, জরুরি চিকিৎসা সবই ফ্রি—একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যবিমা ব্যবস্থার মাধ্যমে। তিনি উল্লেখ করেন, তুরস্কের প্রায় নব্বইভাগ মানুষ এই ইনস্যুরেন্স সিস্টেমের আওতায় রয়েছে।
বাংলাদেশেও এই মডেল অনুসরণ করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভাগভিত্তিক বড় আকারের আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল ও জটিল রোগের বিশেষায়িত সেন্টার নির্মাণ করতে হবে যেখানে নাগরিকরা বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা পাবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের উন্নত সুবিধা, হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন এবং নীতিমালার যুগোপযোগী সংস্কারের ওপর জোর দেন তিনি। তার মতে, চিকিৎসা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক সংস্কার আনতে পারলেই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবে রূপ নিতে পারে। আমরা সেই স্বপ্ন দেখি, বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা।
গাজীপুর-৬ আসনে তার এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ভোটারদের মধ্যে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। অনেকে মনে করছেন—এটি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে একটি স্বপ্ন, একটি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনৈতিক ঘোষণা।