মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : মণিরামপুরে ফসলী জমিসহ বিল রক্ষা ও মৎস্য ঘের অপসারণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া, ব্রাহ্মণডাঙ্গা, হুরগাতী, ভবানীপুর, জয়পুর গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের একমাত্র সম্বল কোচ বিল। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি একের পর এক ফসলী জমি নষ্ট করে ঘের তৈরি করে চলেছে। কৃষকরা জমিতে চাষ করে শুধু ক্ষডুগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে ঝাঁপা গ্রামের সরোয়ারের ছেলে এনামুল (৩৫) ফসলী জমিতে ঘের কাটার অপরাধে জয়পুর কোচবিলে মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমির মালিকেরা। সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, এলাকার আবাদি জমি ও বিল দখল করে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি মাছের ঘের তৈরি করেছেন। এতে জমিতে পানি জমে থাকে, ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষে বাধাগগ্রস্ত হচ্ছে এবং কৃষিজীবীদের জীবিকায় নেমে এসেছে বিপর্যায়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ কৃষির উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে হাজারো পরিবার। ঘেরের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে ফসলহানির পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। ”তারা দ্র”ত ঘেরগুলো অপসারণ করে স্বাভাবিক পানি চলাচল নিশ্চিত ও আবাদি জমির স্থায়িত্ব রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন কৃষক মনির পাটোয়ারী, সফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, কোরবান আলীসহ আরো অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘের মালিক ইনামুল কবীর বলেন, আইন মেনেই ঘের করা হয়েছে। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্যানেল রেখে দিয়েছি। কৃষকদের স্বার্থে যদি ক্যানেল আরো বড় করতে হয়, তা আমি করে দিবো। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, আমি ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করে স্কেভটর মেশিন বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর আছে যাতে ফসলী জমি নষ্ট করে আর কেউ ঘের করতে না পারে।