চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা অখালাসকৃত, বাজেয়াপ্ত বা অনিষ্পন্ন পণ্য দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ বা ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টম হাউস। এ লক্ষ্যে ‘নিলাম কমিটি’ গঠন করা হয়েছে, যা কন্টেইনার জট কমানো ও নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ আদেশে গঠিত এ কমিটি ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানি বা রপ্তানি আদেশের আওতাবহির্ভূত সকল পণ্য নিষ্পত্তি করে বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার কাজ করবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ শফিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞা। সদস্য হিসেবে আছেন অতিরিক্ত কমিশনার মো. রুহুল আমিনসহ কাস্টম হাউসের সব যুগ্ম কমিশনার, উপ-কমিশনার, সহকারী কমিশনার, নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা এবং নিলাম শুল্কায়ন শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ বা সহকারী কমিশনার।

অফিস আদেশে বলা হয়, কাস্টমস আইন অনুযায়ী এই কমিটি গঠিত হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো-দীর্ঘদিন জমে থাকা পণ্য দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে বন্দর কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এ কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে কন্টেইনার জট নিরসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য প্রবাহে গতি আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।