জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির ১৮ জুনের রোডমার্চ ও এলজিইডি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন সিলেট জেলা বিএনপির প্রথম সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন)।

জকিগঞ্জ ও কানাইাঘাট উপজেলা বিএনপির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বিগত ১৫ বছর মামলা মোকদ্দমার কারণে জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায়ে তারা সোচ্চার হতে পারেননি। জকিগঞ্জ-কানাইঘাট আসনে বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর ১১২টি মামলা দায়ের হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামে জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি। এর মধ্যে জকিগঞ্জ কানাইঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দ্রুত মেরামত ও নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত ২৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন, ৬ মে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই সাথে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় একমাসের মধ্যে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে ১৮ জুন রোডমার্চ করে সিলেটের এলজিইডি ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও ছিল।

মামুনুর রশীদ বলেন, তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছু উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জকিগঞ্জের নদী ভাঙন রোধে বাঁধ মেরামতের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাগুলো মেরামতের ব্যাপারে এলজিইডি সিলেট অঞ্চলের তত্তাধায়ক মো. আজহারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়েছেন। তবে, কর্মকর্তারা অর্থসংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে কিছুটা সময় চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশীদ, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মালিক, আব্দুন নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান পারভেজ প্রমুখ।

কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ চোরাচালান বিরোধী অভিযানে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) তামাবিল, প্রতাপপুর, পান্থুমাই, বিছনাকান্দি, দমদমিয়া ও বাংলাবাজার বিওপি কর্তৃক এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, জিলেট ব্লেড, আলট্রা ব্রাইট স্কিন ক্রিম, গরু, চিনি, সাবান, বিস্কুট, শ্যাম্পু, অলিভ ওয়েল, টুথপেস্ট, চিংড়ির রেনু পোনা এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ধরা পড়া শিং মাছ। এসব মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা।

সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়।

আটককৃত পণ্যসমূহের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।