কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা ) সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন একদিকে কপোতাক্ষ নদী অপর দিকে শাকবাড়িয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত হওয়ার কারণে এখানকার নদী ভাঙন প্রধান সমস্যা। এই উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করে জীবন যাপন করছে। এখানকার মানুষের জীবন নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফানের ফলে এই জনপদের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পুরনো দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো প্রায় ভেঙে যাওয়ার ফলে ঘরবাড়ি, ক্ষেত- খামার, ফসলের মাঠ, গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত, মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে এমতাবস্থায় একমাত্র টেকসই বেড়িবাঁধ দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জনমানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। মঙ্গলবার (২৫শে নভেম্বর) সকাল ৮টায় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়াও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বিনাপানী পুজা মন্ডপে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াপদা ভাঙন পরিদর্শন, নতুন বাজার, আংটিহারা আমীর সাহেবের মোড়, ছোট আংটিহারা, গোলখালী বাজার, পশ্চিম চরামুখা, ঘড়িলাল বাজার, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে হাবিবীয়া দাখিল মাদরাসায় মহিলা সমাবেশ করেন দিনব্যাপী ব্যাপক গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে কয়রা উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান, সেক্রেটারি খান ইসজাক আলী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি অয়েজকুরুনীসহ জামায়াত-শিবিরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা আজাদ আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নয়, এখনই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। জামায়াতে ইসলামী সর্বপ্রথম ৩০০ আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করেছে। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং তার আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে কেউ কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করলে কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটা কেন্দ্রে আমাদের ৩শত জন মুজাহিদ অতন্দ্র সীমান্তের প্রহরীর ন্যায় ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে প্রস্তুত। এমনকি তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না।

এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী কাজে সকলকে সক্রিয় হতে হবে এবং প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে পরিচিত করে তুলতে হবে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালে কয়রা-পাইকগাছা (খুলনা-৬) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয়লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।