বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামীকাল শনিবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পাথর সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন জাফলং পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পরিদর্শন শেষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়া হবে না। অন্যদিকে অবৈধ পাথরের ব্যবসা ঠেকাতে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দ্রুততার সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে থাকা পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ১৬ জুন থেকে পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। এই অভিযান সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে নিয়মিত চলছে।
সবশেষ ৩০ জুন কোম্পানীগঞ্জে অভিযানে ১৭টি ক্রাশার মেশিন ধ্বংস, ১০টির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১ লক্ষ ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এরআগে ২৯, ২৫ ও ১৮ জুন জাফলংয়ে ১৬২টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এইকদিনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ ক্রাশার মেশিন বন্ধ করা হয়েছে।