খুলনায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, হোগলাডাঙ্গা বাঁশবাড়িয়া এলাকার কিশোর রায়হান ও জুয়েল বাবু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তারা হলেন, ইজিবাইকের যাত্রী টিটু (২৬), চালক কবির (৪৭), হাসিব (২৩) ও নগেন্দ্রনাথ সরকার (৭৫)। সোমবার (৩০ জুন) সকালে খুলনার হোগলাডাঙ্গা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকটি দোকানে ঢুকে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ট্রাকটি হোগলাডাঙ্গা মোড়ে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে যায়। এছাড়া ট্রাকটি সড়কের পাশে থাকা একটি দোকানের মধ্যে ঢুকে যায়। দোকানটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রায়হান নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইজিবাইকে থাকা যাত্রী টিটু, চালক কবির, হাসিব, নগেন্দ্রনাথ সরকার ও জুয়েল বাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল বাবু মারা যান। এ ব্যাপারে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, হোগলাডাঙ্গা মোড়ে দাড়িয়ে থাকা ইজিবাইকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ২ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুই আসামির যাবজ্জীবন : খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন মজিদ স্মরণী রোডস্থ স্বর্ণ কোমল বাড়ির সামনে থেকে ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতারের মামলার দু’আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর বৌবাজার পাড়ার মো. করিম বক্সের ছেলে মো. মামুন ইসলাম (২৫) ও মো. রবিউল ইসলামের ছেলে মো. সাদিক (১৮)। রায় ঘোষণাকালে সাদিক আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং মামুন ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৪ সালের ১২ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন মজিদ স্মরণী রোডস্থ স্বর্ণ কোমল বাড়ির সামনে থেকে ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামুন ইসলাম ও মো. সাদিককে গ্রেফতার করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ফেন্সিডিলগুলো তারা সোনাডাঙ্গা খুড়ার বস্তির শেফালীর নিকট বিক্রির জন্য এসেছে। এ ঘটনায় এএসআই মো. আশরাফুল আলম বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং-৮। ওই বছরের ১৩ এপ্রিল এস আই মো. আমিরুল ইসলাম আসামি শেফালীকে বাদ দিয়ে মামুন ইসলাম ও মো. সাদিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।