চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় নুরুন নাহার (৪৭) নামের এক নারীকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অফিসে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বিআরডিবি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়ার পর ভুক্তভোগী নুরুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন বললেও তারা ঋণ নেয়া পুরো টাকা চাই। টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে অফিসের ভেতরে আটকে রাখে। নুরুন নাহারের ছোট ছেলে বলেন, তার মা অভাবের কারণে কিছুদিন আগে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আমরা ঋণ পরিশোধের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি। বাকী টাকা ধীরে ধীরে পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা পুরো টাকা দাবী করে। ঋণের কিস্তি সংগ্রহকারী আবেদা আপা আমার মাকে অফিসে তালা লাগিয়ে আটকে রাখেন। আমি বলেছিলাম, আমাকে আটকে রাখুন, মাকে ছেড়ে দিন। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিআরডিবির মাঠ কর্মকর্তা আবেদা খাতুন বলেন, নুরুন নাহার প্রায় ১৪ মাস আগে বিআরডিবি থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ৪ মাস আগে তার ঋণের সময়সীমা শেষ হয়েছে। একাধিকবার তাগাদা দিলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। প্রতিবারই নানা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করে আসছেন। তার কারণে আমার নিজের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। আবেদা খাতুন আরও জানান, তিনি বাজার করতে গিয়েছিলেন, এরপর নামাজ পড়ে ওষুধ কিনে কার্যালয়ে ফিরে আসেন। তার ঋণের দায় কেউ নিচ্ছে না, এমনকি জামাইও না। পরে তার ছেলের সঙ্গে কথা বলে কার্যালয়ের তালা খুলে দিই। ঘটনার বিষয়ে জীবননগর বিআরডিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিল আখতার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে কার্যালয়ে যায়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।