গাজীপুর মহানগরীর উত্তর ভুরুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলম(৩৭) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গলায় রশি বেঁধে ফাঁস নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কি কারণে তিনি ফাঁস নিয়েছেন তা জানা যায়নি। বুধবার রাত ৯ টায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম, ঝালকাঠি জেলার রামচন্দ্রপুর বালিগনা গ্রামের আখতার হোসেনের বড় ছেলে। স্ত্রী রত্না বেগম(৩০) ও ৩ সন্তান নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর উত্তর ভুরুলিয়া আদর্শপাড়া এলাকায় নাসরিন আক্তারের বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। সপ্তাহ দেড়েক আগে তার স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে বগুড়ায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে বাসায় একাই থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগে মহল্লার এক স্থানীয় পরিবারের সাথে ঝগড়া হয়েছিল জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর এলাকাবাসীর কাছে বিচার চেয়েও পায়নি। ইসলাম খান নামের এক ব্যাক্তি এ ভাড়া বাসা ছেড়ে না গেলে জাহাঙ্গীরকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ ঘটনা উল্লেখ করে বাড়ির মালিক নাসরিন আক্তার গাজীপুর সদর থানায় জিডি এন্ট্রি করেছেন।
গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৯টার দিকে উত্তর ভুরুলিয়ার একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনার একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাহাঙ্গীরের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী দারোগা রাশেদ জানান, জাহাঙ্গীরের লাশ তার বাবা ও স্ত্রীর উপস্থিতে ছোট ভাই রমিজ হোসেনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।