মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এতিমখানার ছাদ থেকে শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের সাড়ে তিন মাস পর জানা গেল শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিলো। জানা যায় গত ১৪ এপ্রিল সকালে উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের জিনারাগ অহিদুল আলম ইসলামীয় দারুল কুরআন ও এতিমখানা মাদরাসার ছাদ থেকে নুরানি বিভাগের তাহমিদ নামের (৯) এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়, ময়নাতদন্তের সাড়ে তিন মাস পর রোববার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়। রিপোর্টে শিশু তাহমিদকে স্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে বলেন, শিশু তাহমিদের লাশ উদ্ধারের পর মাদরাসা শিক্ষক শাহারাস্তি উপজেলার ছোটতুলা গ্রামের হাফেজ আবদুর রহমানের ছেলে মোঃ রেদোয়ান (৩০)কে সন্দেহজনকভাবে আটক করে দুইবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি, দুইবারেই রেদোয়ান হত্যার কথা অস্বীকার করে, আটককৃত শিক্ষক রেদোয়ান বর্তমানে জামিনে রয়েছে। তিনি বলেন আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত খুনিদের বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য। তাহমিদ নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার বানসা তরফদার বাড়ির মাইন উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৪ এপ্রিল সকাল বেলায় তাহমিদ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় ছাত্ররা তাকে খুঁজতে গিয়ে ছাদে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে জানালে লাকসাম সার্কেল অফিসার সুমেন মজুমদার মনোহরগঞ্জ থানার এসআই প্রবীণসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এবিষয়ে তাহমিদের বাবা মাইন উদ্দিন বলেন আমার ছেলের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তিনি আরো বলেন আমি গরিব মানুষ, আমার একমাত্র ছেলে আলেম হতে চেয়েছে আমি তাকে আলেম বানাতে চেয়েছি কিন্তু ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। এলাকার সচেতন মহল শিশু তাহমিদ হত্যার বিচার এবং এর আগে মাদরাসায় ঘটে যাওয়া খাবারে বিষপ্রয়োগের ঘটনাসহ সন্দেহজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।