জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর টঙ্গী পশ্চিম থানার সদস্য (রুকন) আবু হানিফ খন্দকার দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার ভোর সোয়া ৬টায় ৫০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। রোববার বেলা দেড়টায় তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রথম এবং বেলা আড়াইটায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শোকবাণী: আবু হানিফ খন্দকারের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল শোকবাণী দিয়েছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, আবু হানিফ খন্দকারের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, প্রিয় ভাই আবু হানিফ দীর্ঘদিন অসংখ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে কয়েক বছর আগে তার পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। কাটা দুই পা নিয়েই তিনি এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। আওয়ামী দুঃশাসনামলে তিনিসহ কয়েক শত শিক্ষক ও কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছিলেন। তিনি তাদের সবার পক্ষে হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করতেন। ৫ আগস্টের পর তারা সকলে ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হন এবং চাকরি ফিরে পান।

তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করুন। তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে সেগুলো নেকিতে পরিণত করে তাকে জান্নাতের আ‘লা দারাজা দান করুন। আল্লাহ তাআলা তার কবরের জীবনকে জান্নাতি জীবন হিসেবে পরিণত করুন এবং কবরকে প্রশস্ত করে জান্নাতের নূর দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিন। সেই সাথে তার পরিবারের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জন, সহকর্মী এবং গুণগ্রাহী সবাইকে উত্তম সবর অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।