গ্রাম-গঞ্জ-শহর
নাটোরে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় সাবেক এসপি কারাগারে
নাটোরে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত বরখাস্তকৃত সাবেক পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হককে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
নাটোরে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত বরখাস্তকৃত সাবেক পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হককে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
আদালত থেকে হাজতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে আসামি সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ আসামীকে কোর্ট ইন্সপেক্টর রুমে নিয়ে যায় এবং দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোর্ট ইন্সপেক্টর এর রুম থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিকে বের করেন। এসময় সংবাদকর্মীরা আসামির ছবি নিতে গেলে আসামি সাবেক এসপি ফজলুল হক তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এসময় এখন টেলিভিশন, সময় টেলিভিশন ও এনটিভির ক্যামেরা পার্সন হাতে চোট পান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসামীকে তাৎক্ষণিক ভাবে আদালতের হাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর নাটোরের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেয়। সাংবাদিকরা দাবি করেন, অন্য আসামিদের মত সাবেক এসপি ফজলুল হককে হাতকড়াপরিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে। বেলা ৩টার দিকে সেনাবাহিনী এসে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখন টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ভিডিও নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামি আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং ক্যামেরা ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামীর দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যম কর্মীদের হামলার শিকার খুবই দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। তিনজন ক্যামেরা পার্সন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন আসামীকে যেভাবে নেওয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এই এসপিকেও হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।
বাদীর আইনজীবী মোঃ মুশফিক হাসান আদালতের আদেশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।