বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, একজন শ্রমিক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা সত্ত্বেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। তাদের নামমাত্র মজুরি দেওয়া হয়। সামান্য বেতন দিয়ে বাসা ভাড়া ও খাবার খরচ মিটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। টাকার অভাবে শ্রমিকের সন্তানরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকের সন্তানরা বছরে দুই ঈদের সময় বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে একটি নতুন পোশাকের জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের খাতা কলমে হিসেব করে যে সামান্য উৎসব ভাতা ঘোষণা করা হয় সেই ন্যূনতম ভাতাটুকু দিতে মালিকপক্ষ চরম অনীহা প্রকাশ করে। অন্যদিকে দুই তৃতীয়াংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত।
তাদের জন্য কোন ধরনের উৎসব ভাতা বরাদ্দ থাকে না। ফলে এসব পরিবারে ঈদের আনন্দ আসে না। তিনি বলেন, ইসলাম শ্রমিকদের জন্য একটি সার্বজনিন আদর্শিক শ্রমনীতি উপহার দিয়েছে। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ করো, তোমার অধীনস্ত শ্রমিকের জন্য তাই পছন্দ করো। তুমি যা খাও, শ্রমিককে তাই খেতে দাও। কিন্তু বাংলাদেশ শুধু সারা বিশ্বে এই অনুকরণীয় শ্রমনীতি দেখা যায় না।
তাই আমরা শ্রমিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আসুন কাক্সিক্ষত মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতির পক্ষে নিজেদের সম্পৃক্ত করি। প্রচলিত শ্রমনীতির বদলে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য এই আন্দোলনকে আরও বেশি গতি নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করি। খুলনা মহানগরী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল পরিবহন শাখা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে বাস টার্মিনাল মসজিদ চত্বরে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।