গতকাল রোববার দুপুর ১২টায়, মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কয়েকজন সদস্য। অধ্যক্ষ সম্মানের সাথে তা গ্রহণের সম্মতি জানায়। দুপুর ১২টা যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির স্কুল ও কলেজ শাখার পূর্ণ শিক্ষাকার্যক্রম চলার সময় তাই অনুরোধ জানানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যেন তাদের পক্ষে নির্ধারিত প্রতিনিধি দ্বারা স্মারকলিপিটি অধ্যক্ষের কাছে প্রদান করেন। বাস্তবতা হলো, হতাহতের পরিবারের তিন থেকে চার জন সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে এসে প্রবেশের কোন প্রকার নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে-জোর করেই প্রবেশের চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহবল হয়ে পড়ে ফটক রক্ষার দায়িত্বে থাকা দারোয়ানগণ। এসময় কলেজ প্রাঙ্গণে কিছুটা বিশৃঙ্খলার তৈরি হয় যা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকার্যক্রম চলার সময় মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় তারা চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে এবং কলেজের একটি একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেয় যখন ঐ ভবনে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান চলছিলো। এসময় তারা অনেকটা ধস্তাধস্তি করেই একটি সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করে এবং জোরে জোরে কথা বলতে থাকায় একটি অপ্রতাশিত পরিবেশ তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে সেমিনার কক্ষে এসে কলেজের একজন উপাধ্যক্ষ তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন এবং অনুরোধ করেন তাদের নির্ধারিত প্রতিনিধি যেন অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে তারা স্মারকলিপি প্রদান না করেই বের হয়ে যান যা ছিলো অপ্রত্যাশিত ও নিতান্তই হতাশা ব্যঞ্জক। বিষাদময় বিমান দুর্ঘটনা সমগ্র জাতির জন্যই একটি দুঃখজনক অধ্যায়। দুর্ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই আমাদের সন্তান, ভাই বোন এবং সহকর্মী। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের শোকাহত করেছে। আমরা অবশ্যই সমব্যথী। আমরা শুরু থেকেই হতাহত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি আন্তরিক সহমর্মিতাসহ। মাইলস্টোন কলেজের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা
হতাহত পরিবারের সদস্যদের স্মারকলিপি প্রসঙ্গ এবং মাইলস্টোন কলেজের বক্তব্য
গতকাল রোববার দুপুর ১২টায়, মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কয়েকজন সদস্য