গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচি নিহত হয়েছেন। নিহত নারগিস আক্তার (৪০) কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধরপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আওলাদ হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামী আওলাদ হোসেন (৫০) ও ছেলে শামীম হোসেন (২৮) আহত হয়েছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারগিসের দেবর, জাকির হোসেন সরকারকে আটক করেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধরপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত নারগিস আক্তার তিন সন্তানের জননী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান ও নিহত নারগিসের বড় বোন সুফিয়া আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাকির হোসেন ও তার ছোট ভাই আওলাদ হোসেনের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রমজানে নারগিস আক্তারের স্বর্ণালঙ্কার চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। সন্দেহভাজন হিসেবে জাকির হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন শেখকে অভিযুক্ত করা হয়। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কোন সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

বুধবার সকালে আবারও এ বিষয়কে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জাকির হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাচি নারগিস আক্তারের বুকে আঘাত করেন। এ সময় আওলাদ হোসেন ও তার ছেলে শামীম হোসেন প্রতিরোধ করতে গেলে তারাও মারাত্মকভাবে আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে নারগিস আক্তার মারা যান। আহত পিতা ও পুত্রকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকির হোসেন সরকারকে আটক করে। নিহত নারগিস আক্তারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।