রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করা আওয়ামী লীগের দোসর গণমাধ্যম কর্মীরা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। চাঁদাদাবি ও হত্যার হুমকির মামলা দায়ের হলেও জামিন ছাড়াই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজাশাহী শহর। বরং ভোল পাল্টে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’ ধারণকারীও বনে গেছেন অনেকেই।
তথ্যমতে, গত বছর ৩৬শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পর ২৭ আগস্ট রাজশাহীর ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলায় আসামীরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম, জিটিভির রাশেদ রিপন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার রোজিনা সুলতানা রোজি ও স্থানীয় দৈনিক উপচারের আসগর আলী সাগর। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সংবাদ কাভারের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত মিডিয়া কার্ড ইস্যু করা হয়। সে সময় অনেক সাংবাদিক সে কার্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে। কিন্তু রফিকুল, রাশেদ রিপন, রোজি ও সাগরসহ কয়েকজন সাংবাদিক কার্ড গ্রহণ না করে মহাসমাবেশের আগের দিন ২ ডিসেম্বর বজলুল হক মন্টুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মন্টু চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আসামীরা হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আসামীরা বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর, অপমানজনক ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে। মানহানিকর ওই সংবাদটি মহাসমাবেশের দিন ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হয়।’