বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এ অনুষ্ঠিত হলো 'ভ্যালিডেশন অ্যান্ড আপস্কেলিং অব রাইস ট্রান্সপ্লান্টিং অ্যান্ড হারভেস্টিং টেকনোলজিস ইন দ্য সিলেক্টেড সাইটস অব বাংলাদেশ (ভিআরটিএইচবি)' প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এই কর্মশালাটি আয়োজন করা হয় কেজিএফ-বিকেজিইটি অর্থায়নে পরিচালিত সিজিপি প্রকল্প (টিএফ ৮৯-এএম/২১) এর আওতায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম। ব্রি'র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, ব্রিথর পরিচালক (প্রশাসন) ড. মুন্নুজান খানম, গবেষণা পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড. মো. মনোয়ার করিম খান।
প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিআরটিএইচবি প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ব্রি উদ্ভাবিত “রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাম ফার্টিলাইজার অ্যাপ্লিকেটর প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান উৎপাদনে সময় ও সারের সাশ্রয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। হবিগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় তিন বছরের ব্যবধানে ১৮টি মাঠ পরীক্ষায় দেখা যায়, মাটির গভীরে সুষমভাবে ইউরিয়া প্রয়োগ করে ২০-৩০% পর্যন্ত সার কম ব্যবহার করেও ফলন বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে রোপণের খরচ ২০-২৫% হ্রাস এবং ফলন ১০-১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রযুক্তি সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে প্রকল্পের আওতায় ব্রি উদ্ভাবিত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাম ফার্টিলাইজার অ্যাপ্লিকেটর, মাল্টি-রো পাওয়ার উইডার এবং দেশের জনপ্রিয় হেড-ফিড ও হোল-ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদান, মাঠ পর্যায়ে গবেষণা তথ্য সংগ্রহ ও কৃষকদের জন্য উপযোগী বিজনেস মডেল তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহারিক সম্প্রসারণে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই কর্মশালার মাধ্যমে ধান উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ, দক্ষতা এবং লাভজনক চাষ ব্যবস্থার সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে বলে মত দেন বক্তারা।