ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর এবং তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞান-বিনিময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ডুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডুয়েটের পক্ষ থেকে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস কো-অর্ডিনেশনশিপ-এর কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. রেজাই কুশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। উপস্থিত ছিলেন উপ-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জ্ঞান-বিনিময়, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা, উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধির পথ আরও প্রসারিত হবে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই ডুয়েটের লক্ষ্য। সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই সহযোগিতা হবে সেই লক্ষ্য অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।”

উপ-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন,

“ডুয়েট ও সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ উদ্যোগ দুই দেশের উচ্চশিক্ষা ও শিল্পখাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান বাড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও আশা প্রকাশ করেন যে, এই সহযোগিতা ভবিষ্যতে শুধু একাডেমিক বিনিময়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা দুই দেশের বন্ধুত্ব, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের স্থায়ী বন্ধন তৈরি করবে।