চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভাগের সাবেক ১০ শিক্ষার্থী মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ বোর্ডে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও একাধিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যাপক পদে প্রার্থীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন— নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো শিক্ষককে রাখা হয়নি। বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফরাসি বিষয়ে ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষককে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বিশেষজ্ঞ করা হয়, যিনি নিজের শিক্ষার্থীকে ভাইভায় অংশগ্রহণ করান। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় পরীক্ষকরা হলে বসে প্রার্থীদের উত্তরপত্র দেখছিলেন এবং প্রশ্ন বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। সিনিয়র অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও কাউকে নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়নি। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের ভাইভায় ডাকা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, এসব অনিয়ম শুধু প্রহসন নয়, বরং ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে অসম্মানিত করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অভিযোগকারীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন- ১. বর্তমান নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন নির্বাচন ও নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ২. জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হবে। ৩. বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নিতে হবে।