সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মহাবিপন্ন বিরল প্রজাতির একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ডিম ফুটে ৬৫ নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে। এগুলোকে তুলে কেন্দ্রের কচ্ছপ লালন-পালন সংরক্ষণ প্যানে রাখা হয়েছে।
করমজল প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হালাদার আজাদ কবির জানান, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি কচ্ছপ ৮২টি ডিম দেয়। পরে সেগুলো সংগ্রহ করে বালুর মধ্যে রাখা হয় বা”চা ফুটানোর জন্য। বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পরিচালক নিবিড় পরিচর্জার পর কেন্দ্রের পুকুর পাড়ের স্যান্ডবিচে রাখা সেই বাটাগুর বাসকা নামক বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপের ডিম থেকে সোমবার সকাল থেকে ফুটে বের হয় একে একে ৬৫টি বা”চা। এসব বা”চাদের প্যানে রেখে লালন-পালনের পর ছাড়া হবে সেডের বড় পুকুরে। সেখানে বা”চাগুলোকে বড় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মূলত এই প্রজাতির ক”চপ এখন আর বেশী একটা দেখা যায় না। কারণ এ কচ্ছপ অন্য সব কচ্ছপের মতো নয়। দেখতে বাদামী ও কালো রংয়ের, অন্য যে কয় প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ কচ্ছপগুলো দেখতে যেমন সুন্দর- খেতেই সুস্বাদু। তাই মানুষের চোখে পড়লেই এগুলোকে খেয়ে ফেলে। যার ফলে এ কচ্ছপ এখন পাওয়া বিরল। এ কচ্ছপ এখন সরকারি-বিদেশী সহায়তায় প্রজনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বড় হলে সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশীদের উপ¯ি’তিতে এগুলোকে সাগর ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, করমজলের প্রজনন কেন্দ্রে ২০১৪ সালে মহাবিপন্ন বিরল প্রজাতির এ বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ৮টি কচ্ছপ দিয়ে শুরু হয় এ প্রজনন কার্যক্রম। সেই থেকে এ পর্যন্ত করমজলে ৫২১টি ডিম দিয়েছে এ কচ্ছপ গুলো। তা থেকে পর্যাক্রমে ফুটে বের হয় ৪৭৫টি বা”চা। বর্তমানে এ প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫৮টি কচ্ছপ রয়েছে। আর বংশ বিস্তারে বিভিন্ন সময়ে এ প্রজনন কেন্দ্র থেকে শতাধিক বা”চা সাগর ও সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।