তমিজউদ্দিন আহমদ : নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। নারায়ণগঞ্জে ৫২ টি হটস্পটে এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জে ১০টি আইসিইউ শয্যাসহ দুইটি ডেঙ্গু কর্নার চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩ জন। গত ৮ দিনে ৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছর হাসপাতাল গুলোতে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৫ শত ৮৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি তবে ঢাকায় গিয়ে মারা যেতে পারে তার হিসেব নেই নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এডিস মশার প্রতিরোধে মশক নিধন,সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা প্রদক্ষেপ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া চিকনগুনিয়া ও ভাইরাস জনিত জ্বর নিয়ে প্রতিদিন শত শত রোগি নারায়ণগঞ্জের দুটি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ভিড় করছে। রোগির চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে ডাক্তাররা।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১০টি আইসিইউ শয্যাসহ দুইটি ডেঙ্গু কর্নার চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে (সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর) ৫ শত ৮৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। আর বেশী আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এবং অল্প আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। জুন মাসে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। আর জুলাই মাসে ভর্তি হয়েছে ৮০ জন। আগষ্টে এক শত ৬৬ জন ভর্তি হয়েছে। একই ভাবে রোগী বাড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। সেখানেও প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পুরুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে নারী,বাদ যাচ্ছে না শিশুরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হচ্ছে নারী ও শিশুরা। জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত (সেপ্টেম্ব^র ৮) ৩ জন। এপর্যন্ত এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩ শত ৭০ জন। রোগীরা নানা উপসর্গ নিয়ে এসে পরীক্ষা করে জানতে পারেন ডেঙ্গুতে আকান্ত হয়েছে।

একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের চাষাড়া রামবাবুর পুকুরপাড় পূর্ব পাশের পুকুর, দেওভোগ জিওস পুকুর, বাবুরাইল খালের দক্ষিণ পাশের ডোবা, নয়াপাড়া আবর্জনার স্তূপ, ভুইয়ারবাগ ডোবা আবর্জনাসহ ৫২টি স্পটে এডিস মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।