রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও চালকরা। এই যানজটের ফলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, অফিসগামী মানুষ দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে কাচপুর থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বরপা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও চালকরা। ৫-১০ মিনিটের রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যত্রতত্র যাত্রী উঠানো নামানো, নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালকদের বিপরীত রুটে গাড়ি চলাচল, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া, এবং টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায়ও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। সড়কে সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় যানজট আরও তীব্র হয়েছে।

শুধু যানজট নয়, খানাখন্দে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও বাড়ছে। দ্রুত গর্তগুলো মেরামতের দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা

এ যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। মহাসড়কের যানজটের কারণে রূপসী-কাঞ্চন সড়কেও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

আব্বাস ভূঁইয়া নামে এক যাত্রী বলেন, রূপসী থেকে রাজধানী পপুলার হাসপাতালে আব্বাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বের হয়েছি সকাল ২টার দিকে। দেড় ঘণ্টা ধরে এক কিলোমিটারও এগোতে পারিনি, জ্যামেই বসে আছি।

বাস চালক আবুল হোসেন বলেন, একদিকে রাস্তায় খানাখন্দ আবার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলার কারণে যানজট প্রতিদিন লেগে থাকে।খানাখন্দে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক চালকরা আগে যাওয়ার জন্য একাধিক লাইন করে। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম তেমন দেখি না।গাড়ির জমা দিয়ে সংসার চালানোর উপক্রম নেই।

আব্দুল হক নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মুমূর্ষু রোগীদের ঢাকা নিতে হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়। যানজটের কারণে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যায় প্রায় সময়।

যাত্রী শামীমা বেগম বলেন, বরপা থেকে কাচপুর যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট কিন্তু দেড় ঘণ্টায়ও পৌঁছাতে পারিনি। প্রতিনিয়ত এ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকে। এ যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।

এ ব্যাপারে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নীত করন কাজের জন্য রাস্তা অনেকাংশে শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর আবার অতিবৃষ্টির কারণে খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আবার আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালকদের বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও ঘাটতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে। হাই ওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।