DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

আতঙ্কের নাম মিনি তেলপাম্প

ছোট ছোট দোকানে কিংবা আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন। অথচ এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।

Printed Edition
gdfgd
চারঘাট (রাজশাহী): মিনি তেল পাম্পের একটি দোকান। বাঘার রস্তুমপুরের দৃশ্য -সংগ্রাম

শাহিনুর রহমান সুজন, চারঘাট (রাজশাহী): ছোট ছোট দোকানে কিংবা আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন। অথচ এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিতি পেয়েছে ‘মিনি তেল পাম্প’ নামে। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল যেমন সরবরাহ হচ্ছে তেমনি তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকিও।

রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের পাশে ও আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেল বিক্রির এ ধরনের অন্তত ২৫টি মিনি পাম্প গড়ে উঠেছে। আরও কয়েকটি দোকানে মেশিন বসিয়ে চালুর অপেক্ষায়। অথচ পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত আইন অনুসারে জ্বালানি তেল পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ব অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তার কারণে ২০১৫ সাল থেকে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞাও আরোপ রয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর বাজারে আবাসিক এলাকায় দুইতলা ভবনের নিচে ও টিনসেট ঘরে পাশাপাশি দুইটি মিনি তেল পাম্প গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে খেয়াল খুশি মত ডিজেল, পেট্রল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে চারঘাটের ফরিদপুর মোড়, নাওদাপাড়া বাজার ও নন্দনগাছী বাজারেও। এসব মিনি পাম্পে শত শত তেলের ব্যারেল স্তুপ করে রাখতে দেখা গেছে। এই দুই উপজেলায় এ ধরনের মিনি পাম্প হয়েছে কয়েক বছর আগে। প্রথম দিকে দু একটা থাকলেও নিয়মনীতি বালাই না থাকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তেল পাম্প গড়ে উঠছে। তবে বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সমকালকে নিশ্চিত করেছে এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি।

চারঘাটের ফরিদপুর মোড়ের মিনি তেল পাম্পের মালিক সোহানুর রহমান বলেন, বিস্ফোরক অধিদপ্তরে আবেদন করেছি কিন্তু অনুমোদন এখনো পাইনি। ফায়ার সার্ভিস অনুমোদন দিয়েছে তা দিয়ে পাম্প চালু করেছি। কিন্তু তেল বিক্রির অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। জানা যায়, এসব মিনি তেল পাম্প গুলোতে মাঝে মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের মিনি তেল পাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়। এর আগে চারঘাটের নন্দনগাছী বাজারের একটি তেল দোকানে অগ্নিকাণ্ডে চারজন গুরুতর আহত হয় এবং আশেপাশের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ কবির হোসেন বলেন, মিনি তেল পাম্প স্থাপনে আমাদের দপ্তর থেকে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। এসব পাম্পগুলো পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।