কয়েক দিনের আন্দোলনের জের ধরে উত্তাল হয়ে উঠেছে নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণার পর সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চারট প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শ্রমিকরা। ফলে ইপিজেড এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে নোটিশের মাধ্যমে উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানা যথাক্রমে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করা হয়। তাদের নোটিশে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর থেকে কারখানার শ্রমিকরা অবৈধ ও অঘোষিত ধর্মঘট, কর্মবিরতি এবং উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকান্ডে জড়িত হন। শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার চেষ্টা করেও কোনো সমাধানে না আসায় কর্তৃপক্ষ কারখানা আইন ১৯৬৫ এর ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও পুণরায় চালুর দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ইপিজেডের প্রধান ফটকের উত্তরা ইপিজেডের এক্সিকিউটিভে ডিরেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, রবিবার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকালে কিছু শ্রমিক ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে। আমরা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বন্ধ চারটি কারখানা চালুর চেষ্টা করছি।
নীলফামারী সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ বলেন, খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় আমরা উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।