বিবৃতিতে তিনি বলেন চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। আবার দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুও চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে তাড়াহুড়োপ্রবণ, অস্বচ্ছ ও গোপন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইন্টেরিম সরকার তাই করতে চাচ্ছে। কোনো দরপত্র ছাড়াই পতিত স্বৈরাচারের আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পৃক্ত এক বিদেশি কোম্পানিকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (NCT) তুলে দেওয়ার যাবতীয় ষড়যন্ত্র চলমান। এ ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি টার্মিনালের বিষয়েও ইন্টেরিম সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্তে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও বাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে । জনআকাংখার আলোকে আমরা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করে।

নি¤েœাক্ত প্রস্তাব পেশ করছি । দেশীয় ব্যবস্থায় বন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করুন। একান্ত প্রয়োজন হলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি জনবল নিয়োগ দিন এবং তাদের মাধ্যমে দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করুন। উন্নত মানের যন্ত্রপাতিসহ যাবতীয় উপায়-উপকরণ নিয়ে আসুন। তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বিদেশি অপারেটরকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আন্তর্জাতিক দরপত্রের (international contract bidding) নীতিমালা অনুসরণ করে জনগণকে অবহিত করেই চুক্তি করতে হবে। কোনো গোপন চুক্তি কিংবা দরপত্রবিহীন অবৈধ চুক্তি করলে জনঅসন্তোষ তৈরি হবে যার সমুদয় দায়ভার সরকারের ওপর বর্তাবে।