মনিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : যশোর-৫ (মনিরামপুর) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে মনিরামপুর উপজেলাব্যাপী তীব্র জনক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের এই ক্ষোভ বিবেচনা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলার শাখার উদ্যোগে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছে। এই প্রস্তাবকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন তারা। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হলে উপজেলাবাসীর পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর এবং সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক স্মারকলিপিটি নির্বাচন কমিশন বরাবর জমা দেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘকাল ধরে মনিরামপুরের ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে একটি সংসদীয় আসন হিসেবে পরিচিত। এখানে কোনো ধরনের প্রশাসনিক বা সামাজিক জটিলতা নেই। এই সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এলাকাবাসীর মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত কোনো রাজনৈতিক দল এই ধরনের প্রস্তাব দেয়নি। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এই ধরনের আবেদন করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মনিরামপুর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুকৃতি কুমার ম-লের আবেদনটি বাতিল করে বর্তমান সংসদীয় আসন ৮৯ (যশোর-৫)-এর সীমানা বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশন জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রস্তাবের যৌক্তিকতা বিবেচনা করবে এবং অবিলম্বে তা বাতিল করবে। জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার ম-লের নামে নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদনে মনিরামপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাসটি, কুলটিয়া, দূর্বাডাঙ্গা, নেহালপুর ও মনোহরপুর আলাদা করে নতুন একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়।