চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা সার্কেলের কর্মকা- সহজের পরিবর্তে জটিল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই অনুমতির ক্ষেত্রে একই কর্মকর্তাকে একাধিকবার অনুমোদন দিতে হচ্ছে। নতুন কাজে কিছুটা গতি এলেও পুরাতন সব কাজে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। এ ধরনের নানা অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, করোনাকালীন অচলাবস্থাসহ থমকে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্ডের ডাটা ঢাকায় গেলেও ‘রেডি ফর প্রিন্ট’ দেখাচ্ছে। এসব লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ছবির সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় কার্যালয় থেকে স্লিপ নিয়ে ঢাকার বনানী সদর কার্যালয়ে গিয়ে স্লিপের ওপর লিখিত অনুমোদন নিয়ে আবারও নিজ জেলায় এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হচ্ছে। যে কাজ নিজ জেলা থেকে অনুমোদন দেয়া সম্ভব। পেশাদার নবায়নের সময় পরিবহন চালকদের পিএসভি নবায়নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যে চালকরা যাত্রীবাহী বাস চালায় তাদের ক্ষেত্রে পিএসভি অপশন থাকছে না। সে কারণে চালকরা লাইসেন্স নিতে গিয়ে হয়রানি হচ্ছে। যেসব কাজে ‘রেডি ফর প্রিন্ট’ দেখাচ্ছে, প্রায় দেড়/দু’বছর পেরিয়ে গেলেও সেসব পুরাতন স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে না। যেখানে নতুন ইস্যুকৃত কার্ড এক মাসের মধ্যে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয়ে গেলে পুরাতন আবেদনকারীরা আদৌ তাদের কার্ড পাবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার মোটরযান চালক গনি জানান, তিনি যাত্রীবাহী পরিবহন চালানোর জন্য তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনে পিএসভি অপসন দিলেও সেটা হেভি যানবাহন অপসন দেখাচ্ছে। সে কারনে তার লাইসেন্স আটকে আছে। একই কথা বলেন, ভুক্তভোগী সোহেল, মেহেরপুর জেলার রাজীব ও চুয়াডাঙ্গার ফরহাদ।
ভুক্তভোগীরা বলেছেন, যদি কার্ডের সংকট থাকে তাহলে তাদের অনলাইন স্লিপকার্ড দিয়েও সাময়িক সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হলে অনেক ক্ষেত্রে এসব আবেদনকারীর তথ্য পাওয়া যাবে না বা হয়রানি শিকার হতে হবে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা স্থানীয় বিআরটিএ’র সমস্যা না, এগুলো সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। দীর্ঘ দিন এ সমস্যা চলতে থাকলেও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সমস্যার সমাধান না করায় সারা দেশেই এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এখন যে প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, এরা চলে গেলে সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারন করবে।