টানা পাঁচ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র ক্যাম্পাস। ক্লাস শুরু হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। নতুন ভিসি’র কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা সাড়ে পাঁচ মাস ক্লাস এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকায় যে একাডেমিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তারা সেটা দ্রুত পুষিয়ে পূর্বের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কযেকটি বিভাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। যাদের ক্লাস আছে তারা ব্যস্ত ক্লাসরুমে। বাকিরা ক্যাম্পাসে বন্ধু বান্ধব-সহপাঠীদের সঙ্গে আড্ডা আর গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং আগে থেকে চালু ছিল। বাকি ছিল শুধু খানজাহান আলী হলের ডাইনিং। সেটিও বুধবার থেকে চালু হয়েছে। ক্লাস শুরু হবে এ খবরে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আগেই চলে এসেছে। বাকিরাও সকাল থেকে আসতে শুরু করেছে। ক্লাস শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের -২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মনিরুন নাহার তাবুসী বলেন, ‘৫ মাস পর ক্লাস শুরু হওয়ায় মনে হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। প্রথম দিন থেকেই আমাদের ক্লাস পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা রাখি এটা কন্টিনিউ হবে। নতুন ভিসি’র কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, আমাদের যে একাডেমিক লাইফ, এটা যেন স্বাভাবিকভাবে আবার ব্যাক করে। আর ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে যে দূরত্ব আছে, সেগুলি যেন তাড়াতাড়ি মিটে যায়। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যাব ইনশাআল্লাহ’।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহি বলেন, ‘অনেকদিন পর আমাদের বুধবার থেকে ক্লাস শুরু হইছে। ক্লাসমেটদের সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগতেছে। আমাদের ক্লাসে আজকে একটু উপস্থিতি কম ছিল তারপরও ৫০ শতাংশের মতো উপস্থিতি ছিল। খোঁজখবর নিয়েছি, বাকি যারা আছে, আজ কালকের মধ্যে চলে আসবে। নতুন ভিসি’র কাছে আমাদের প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি যেন আর না হয়, এটা যেন নিশ্চিত করেন। আর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, ওটা যেন আরও ভালো হয়, যতটুকু তিনি কাজ করে পারেন’।