নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) সংবাদদাতা : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বাজারে উলামা লীগ সভাপতি কর্তৃক জেলা পরিষদের ইজারাভুক্ত জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, চাকঢালা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাদরাসার উত্তর পাশে অবস্থিত বাজারের পূর্বে ছড়া, পশ্চিমে প্রধান সড়ক ও উত্তরে উত্তর চাকঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝামাঝি এক একর জমির উপর চাকঢালা জেলা পরিষদের পুরনো বাজারটি একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিজের জমি পরিচয়ে বিক্রি করে দেওয়ায় উক্ত বাজারে জেলা পরিষদ নির্মিত দুইটি মাছ বাজার ও ১০০ ফুট/৫০ ফুটের সংকীর্ণ খালি জায়গায় মুরগী ও ছাগলের বাজার বসে। কিন্তু সম্প্রতি উলামা লীগ নেতা মৌলভী আতা উল্লাহ কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার যোগসাজশে দোকান ঘরের জন্য একটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। ফলে জেলা পরিষদ যেমন বিরাট রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাজারটি আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় হাঁটের দিনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সড়কের উপর কাঁচা শাক সবজি বেচা বিক্রির ফলে চরম যানজটের সৃষ্টির কারণে জনসাধারণের চলাচল ও শিক্ষার্থীদের স্কুল মাদরাসায় যেতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে উলামা লীগ নেতা আতা উল্লাহর সঙ্গে তার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি ইতিমধ্যে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তবে এখনো অনুমোদন পাননি। অনুমতি না পেয়ে ও কেন স্থাপনা নির্মাণ করছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। স্থানীয়দের দাবী, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাজারের জমি নামে বেনামে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে ও দখলদারীর মাধ্যমে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করছেন ফলে দিনদিন পুরনো বাজারটি হাটের দিন চরম জায়গা সংকটে পড়ছে।

জেলা পরিষদের বাজার অবৈধ দখল করে উলামা লীগ নেতা কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবন নির্মাণ বন্ধ করাসহ দখলকৃত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক বাজারের এক একর জায়গা ফিরিয়ে নিয়ে পরিকল্পিত বাজার শেড নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করে বাজারের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এই বিষয়ে বাজারের ইজারাদার ছৈয়দের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।