ছাতক সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বড়কাপন ভায়া দোয়ারাবাজারে কপলা-শ্রীপুর সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যায়ে চলমান রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষের আগেই রাস্তায় পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। যে কারণে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র আওতাধীন সড়ক সংস্কারে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রোববার বিকেল ৫টায় পান্ডারগাঁও ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। ওই কর্মসূচিতে স্থানীয়রা বলছেন, অবিলম্বে সড়ক সংস্কার কাজ সঠিক ভাবে করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে এবিষয়ে এলজিইডি’র দায়সারা ভাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় প্রকৌশলীকে উপজেলা থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বড়কাপন এলাকা থেকে কপলা হয়ে সড়কটি দোয়ারাবাজার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপর এসেছে। এই সড়কটি দিয়ে দুটি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সুড়িরগাঁও, পান্ডারগাঁও, নোয়াগাঁও, হরিপথনগর, আফসরনগর, পলিরচর, হিম্মতেরগাঁও, শ্রীপুর, মাছিমপুর, বাউসা, দোহালিয়া আইন্দারীগাঁও, বিয়ানীবাজারসহ অন্তত ৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন এ সড়কে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি বেশ কয়েক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এটি দরপত্র আহবান কওে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তার (এলজিইডি)। সড়কটি সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এটির কার্যাদেশ দেয়া হয় ‘মেসার্স সালেহ এন্ড ব্রাদাসর্’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। গত এক মাস পূর্বে ঠিকাদার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করে। তবে কাজের শুরুতেই ব্লক, গার্ডওয়াল, নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অনিয়মের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এতে পিচ ঢালাইয়ের পূর্বেই গার্ডওয়াল এবং ব্ল¬কগুলোতে ফাটল এবং অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। ওই সড়কে কপলা থেকে শ্রীপুর বাজার পর্যন্ত পিচ গালা করা সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারের লোকজন সড়কের উপর ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করে কাজ করেছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ দায়সার বক্তব্য দিয়ে এড়িয়ে যান। যদিও তার দায়িত্বের অবহেলায় ও পরিকল্পনায় সড়ক সংস্কারের এমন অনিয়মের অভিযোগ। তিনি বলেন, কাজ তো এরকম হওয়ার কথা না। আমরা কাজের তদারকি করেছি। কাজে ত্রুটি থাকলে থাকলে ঠিকাদার রিপিয়ারিং করে দিতে হবে।