ঢাকার পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যা মামলার দুই আসামীকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র রিমান্ডের আদেশ দেন দুই আসামী হলেন, মনির হোসেন ও সুজন। প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বুধবার গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার মাজার বস্তি এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হানিফ দুই আসামীকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামাল উদ্দিন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, এটা একটা চাঞ্চল্যকর মামলা। অতর্কিতভাবে তারা দোকানে ঢুকে গুলি করে কিবরিয়াকে হত্যা করে। এজাহারনামীয় আসামী ভাগিনা মাসুদ এ হত্যাকান্ড ঘটাতে চারজনকে চারটা অস্ত্র সরবরাহ করে। মাসুদ মূল পরিকল্পনাকারী।
মনিরের আইনজীবী রানা শেখ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। দোকানে ঢুকে গুলি করেছিল, এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নাই।
সুজনের আইনজীবী এবিএম রুহুল আমিন বলেন, একজন লোক নিহত হয়েছে, আমরাও চাই সুষ্ঠু বিচার হোক। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হোক। তার (সুজনের) নাম কেউ বলেছে কিনা যে সে হত্যাকান্ডে জড়িত। ফুটেজে যদি তাকে দেখা যায়, তাহলে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিলে কোনো কথা নেই।
সুজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ কী, তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চায় আদালত। তদন্ত কর্মকর্তা হানিফ আদালতকে বলেন, সুজন ও সোহেল একি গ্রুপের লোক। তারা একই সঙ্গে চলাফেরা করে, ঘটনা ঘটায়।
ভিডিও ফুটেজে আছে কিনা আদালত জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামী জনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম আছে।
সুজনের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে কী পেয়েছেন জানতে চাইলে তদন্তকর্তা হানিফ বলেন, ঘটনার আশপাশে থেকে ঘটনা পর্যালোচনা করেছে।