ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত আধুনিক লক্ষ্মীপুর গড়তে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

গতকাল শনিবার লক্ষ্মীপুরে ‘পরিবর্তনের পথে অগ্রযাত্রা’-ড. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গড়বো লক্ষ্মীপুর, এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শনিবার সকাল ১০টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি শহরের বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মাহমুদ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবদুর রহমান, মাওলানা মোস্তফা মোল্লা, আবুল ফারাহ নিশান, নুর মোহাম্মদ রাসেল, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খান সুমন, শিবিরের শহর শাখার সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল হামদু প্রমুখ। শহরের ঝুমুর চত্বরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী দিনের সমৃদ্ধ লক্ষ্মীপুর গঠনে আমরা ইতোমধ্যে ‘৫ জিরো ভিশন’-তবৎড় ঈড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ, তবৎড় ঈৎরসব, তবৎড় ঈৎরংরং, তবৎড় ঈধৎনড়হ, তবৎড় ঈড়হঃধসরহধঃরড়হ প্রণয়ন করেছি। তিনি ‘৫ জিরো ভিশন’ বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আল্লাহর মেহেরবানি ও জনগণের সমর্থনে যদি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাই, তবে লক্ষ্মীপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ক্যান্সার হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি লক্ষ্মীপুরে নদীবন্দরের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে বলেন, নদী বিধৌত জেলা হওয়া সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুরে কোনো নদীবন্দর নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিকমানের নদীবন্দর স্থাপনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে একটি মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করা হবে’।

ড. রেজাউল করিম যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরে বলেন, লক্ষ্মীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণ করার জন্য শহরের প্রধান সড়ককে চার লেনে উন্নীত এবং নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে চাঁদপুর পর্যন্ত আধুনিক রেললাইন স্থাপন করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একই সাথে লক্ষ্মীপুরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে, যার মাধ্যমে নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে এবং বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি লক্ষ্মীপুরকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন স্বপ্নের শহরে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।