দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গত ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ উন্নয়ন হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে নানা ধাক্কার পরও বছরের শেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। রপ্তানির জোয়ার, প্রবাসী আয়ের রেকর্ড এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অর্থনীতি আবার গতি ফিরে পেয়েছে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতাসহ এ ধরনের অন্তত ছয়টি ঝুঁকি রয়েছে, যা উন্নয়নের গতিকে মন্থর করে দিতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪.৮ শতাংশে পৌঁছাবে। আর ২০২৬-২৭ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৭ শতাংশ, আর তার আগের অর্থবছরে ছিল ৪.২২ শতাংশ। সম্প্রতি ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাটির সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাদাত খান। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিসকা ওহসরজে এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভাগীয় পরিচালক জ্যাঁ পেসমে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে, প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে কর আদায় বৃদ্ধি, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা দূর করা, জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস ও নগর পরিকল্পনা করতে হবে।

প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও বেসরকারি ভোগব্যয় বৃদ্ধির ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগে মন্থরতা আনতে পারে। বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা চলমান থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় বৈদেশিক লেনদেনে চলতি হিসাবের ভারসাম্য পুনরায় ঘাটতিতে পরিণত হতে পারে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কারের ফলে ভর্তুকি প্রদানের হার ধীরে ধীরে কমে এলেও, সুদ পরিশোধের সঙ্গে মিলিয়ে এটি মোট চলতি ব্যয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি অংশ দখল করে থাকবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মূল্যায়ন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ঋণ সংকটের ঝুঁকি ‘নি¤œ’ থেকে বেড়ে এখন ‘মধ্যম’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি হিসাব পুনরায় ঘাটতিতে পড়তে পারে। তবে রাজস্ব সংস্কারের ফলে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। সরকারি ঋণ ২০২৬-২৭ অর্থবছরে জিডিপির ৪১.৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিতে ছয়টি প্রধান ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতিতে ৬টি নি¤œমুখী ঝুঁকি রয়েছে। যেমন- ব্যাংকিং খাতের সম্ভাব্য দুর্বলতা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সংস্কার বাস্তবায়নে বিলম্ব, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিঘœ, প্রত্যাশার তুলনায় ধীরগতিতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা। সংস্থাটি বলছে, সংস্কার ও বিনিয়োগ কার্যক্রম জোরদার হলে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তখন মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশে নেমে আসবে এবং দারিদ্র্যের হার ১৯.১ শতাংশে কমবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৬ সালের নবেম্বর মাসে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ রপ্তানিতে তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক হার বহাল রাখবে। বিশ্বব্যাংকের মতে, এলডিসি উত্তরণ হবে অর্থনীতির কাঠামোগত সংস্কার, প্রতিযোগিতা বাড়ানো ও বৈচিত্র্যায়নের জন্য বড় সুযোগ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ নাগাদ ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২৪.১ শতাংশে- যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় ৭.৯ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। সরকার ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শাসনব্যবস্থা উন্নত করতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা বাড়াতে আইনি কাঠামো সংশোধনের কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রবাসী আয় ২৬.৮ শতাংশ এবং রপ্তানি আয় ৮.৮ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষ করে পোশাক, চামড়া, জুতা, প্লাস্টিক ও কৃষিপণ্যে প্রবৃদ্ধি এসেছে। আমদানি বেড়েছে ৪.৩ শতাংশ। উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তা ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক ভারসাম্য ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। এতে রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ৬.৮ শতাংশে নেমেছে। মূল কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছে কর আদায়ে মন্থর প্রবৃদ্ধি ও ভর্তুকি এবং সুদ পরিশোধজনিত ব্যয় বৃদ্ধি। তবে রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকার কর নীতি ও প্রশাসনের পৃথকীকরণ, কর ব্যয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার মতো সংস্কার শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংকের সার্বিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার পথে এগোলেও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন আর্থিক খাতের পুনর্গঠন, কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়ন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ায় দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে বেশি পরিমাণ আয় পাঠাচ্ছেন। তাতে এ খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়া ও বাড়তি বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতির ফলে বহিস্থ খাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। সব মিলিয়ে বিনিময় হারে একধরনের স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে বলে আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যমূল্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশে আমদানি খরচ বেড়ে যায়, শুরু হয় ডলারের সংকট। ডলারের এই সংকটে ওলট-পালট হয়ে যায় দেশের প্রায় সব আর্থিক সূচক। ব্যবসা-বাণিজ্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে একসময়ের ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। একপর্যায়ে প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৩ বিলিয়ন ডলারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। আমদানিও কিছুটা কমে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে ৩৮৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৩২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় গত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ কোটি ডলার বা ১৬ শতাংশ। গত জুলাইয়ে ৩৮২ ও আগস্টে ৪০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তখন রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৩ ও ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ১৭৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের দৃশ্যমান অন্যতম দুটি সূচক হলো দেশটির অর্জিত প্রবৃদ্ধি এবং রিজার্ভ মানি বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার। মোটাদাগে এ দুটি বিষয়ের ওপর আলো ফেললে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আনুপাতিক প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রবৃদ্ধি অর্জনে ধারাবাহিকভাবে সফল হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদ- অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকলে অচিরেই রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে অর্থনৈতিক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আশার আলো উঁকি দিচ্ছে। শিল্প উৎপাদন, রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক দিক নির্দেশ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ইতিবাচক ধারা ফিরেছে। তারা বলছেন, অর্থনীতিতে পূর্ণ উদ্যমে ফিরতে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির চাপ, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকি এবং কৃষি ও সেবা খাতের দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রফতানি করেছে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা আগের বছরের তুলনায় ১০.৮৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি ২৬.৬৪ শতাংশ বেড়ে ১.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা এই বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ২০২৫ সালের মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক মাসে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, প্রবাসী আয় এবং রফতানি খাতে ইতিবাচক প্রবাহ অব্যাহত থাকলে রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে, যা দেশের আমদানি ব্যয় নির্বাহ ও বিনিয়োগ পরিবেশে স্থিতিশীলতা আনবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এটি তো পরিষ্কার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তিনি জানান, জুলাইয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগস্টের বন্যায় কৃষি, কলকারখানা এবং সেবা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়। কৃষি ও উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে রফতানি ও রেমিট্যান্সে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতি আরও ভালো করেছে। তিনি জানান, রফতানি ও রেমিট্যান্স চাঙা হওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য এবং সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে।