নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও তার দোসরদের বিরুদ্ধে বিএনপির নিবেদিত নেতাকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে। এ চক্রটি বিভিন্নভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘায়েল করার জন্য বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা, কাল্পনিক অভিযোগ সামনে এনে বিশৃংঙ্খলা তৈরি করছে। ফ্যাসিবাদের এই দোসরদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে এখনই নেতাকর্মীর স্বোচ্চার হতে হবে।

গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী । তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত অভিযোগে বিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, সমগ্র দেশব্যাপী আওয়ামী দোসরদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ পর্যন্ত উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের স্বীকার হচ্ছে। তদ্রুপ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও আওয়ামী দোষরদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমি সহ আমার দলীয় নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন,আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন বিএনপির নিবেদিত কর্মী। গত ২৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রইসউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ভূমিদস্যু, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যাহার নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমানাদি উল্লেখ নেই। কথিত রইস উদ্দিনকে দিয়ে আওয়ামীলীগের দোসরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। স্বেচ্ছসেবক দলের নেতা মামুন হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আক্তার সুমন গং ব্যক্তিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে উদ্ভট, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ সভাপতি হানিফ কবির, সুমন আকবর, যুগ্ম সম্পাদক আনিস রহমান,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, সহ-প্রচার সম্পাদক কামাল আহম্মেদ, মিলন টালি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী।