রাজশাহীর পদ্মা নদীর চরে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এটি ‘গাঙ্গেয় শুশুক’ হিসেবেও পরিচিত। এক সময় গঙ্গা-পদ্মায় এর প্রচুর বিচরণ ছিল। কিন্তু ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে এটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ।
রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা নগরীর তালাইমারি ফুলতলা ঘাটের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি খুঁজে পান। তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন, কোনো নৌযানের প্রোপেলারের আঘাতে অন্তত দুদিন আগে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকালে রাজশাহী কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন তার ফেসবুকে ডলফিনটির ছবি আপলোড করেন। এই সূত্র ধরে খোঁজ নিতে গিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রায় তিন ফুট লম্বা ডলফিনটির বয়স এক বছরের মধ্যেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক ও প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস বলেন, রাজশাহীতে এর আগে জালে আটকে পড়ে মারা যাওয়া ডলফিনের নজির রয়েছে, তবে এই প্রথম কোনো ডলফিনের প্রোপেলারের আঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হালদা নদীতে প্রোপেলারের আঘাতে ইরাবতী ডলফিন মৃত্যুর অনেক রেকর্ড থাকলেও পদ্মা নদীতে এমন ঘটনা নতুন। এটি ‘গাঙ্গেয় শুশুক’ বা নদীর ডলফিন প্রজাতির। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এটি গবেষণাগারে নেয়ার উপযুক্ত অবস্থায় নেই, তাই পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়াতে পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি নদীতে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে বলেন, “কোনোভাবে ডলফিন জালে আটকা পড়লে দয়া করে পরম যতেœ আবার নদীতে অবমুক্ত করে দিন।”
