আজ রোববার ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মাঠে "আগামীর ভোলা" এই ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আন্দোলনকারীরা আগমী ২৭ এপ্রিল ঢাকায় গিয়ে সচিবালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।দেশের এক মাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। এখানে ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস। প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস সমৃদ্ধ এই জেলার রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে এখানে গ্যাস ভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্ৰীডে যুক্ত হয়েছে।

জেলা শহরে প্রায় আড়াই হাজার আবাসিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় এক সিদ্ধান্ত সারা দেশের সাথে ভোলাতেও গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোলাবাসীর দাবি দ্বীপজেলা বিবেচনা করে ভোলা আবাসিক সংযোগ দেওয়া হোক।

এদিকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।

এখানে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল না থাকায় চিকিৎসার অভাবে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। ভোলা বরিশাল সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় মুমুর্ষু রোগীকে দ্রুত জেলার বাইরে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা দেযওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তাই দ্রুত ভোলায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

একই সাথে ভোলার ৯টি কূপে মজুদকৃত গ্যাসের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। ভোলার গ্যাস ভোলার মানুষের ঘরে ঘরে দেয়া হচ্ছেনা।

এমনকি গ্যাস ভিত্তিক ইকোনমিক জোন গড়ে ওঠেনি। ভোলার গ্যাস ব্যাবহার করে এখানে শিল্প কারখানায় গড়ে তোলার দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন "আগামীর ভোলা" সংগঠনের মূখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিম। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, বিজেপিসহ বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।