নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরে শিল্পপ্রতি কাশেম সমর্থকরা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত ও ২৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার সকালে শহরতলী দত্তপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান জেলা যুবদলের দলের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মালেক। লিখিত বক্তব্যে মালেক বলেন, শনিবার দুপুরে তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করছিল দলের নেতাকর্মীরা। পরে বড় হরিশপুর বাইপাস থেকে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্টেশন বাজার এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী ও তার ছোট ভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ব্যাপারীর সন্ত্রাস বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান (৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিতাস (৪২), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মজিদ ভূঁইয়া, এন এস সরকারী কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির হাবিব (২৮), যুবদল কর্মী সাব্বির (৩০), (কাইফ ৩২) ও বাবুসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয় ও ২৫ টির মত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলাকারীদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আবুল ব্যাপারি বলেন, আমি ঠিকাদারি কাজে সড়ক ভবনে যাচ্ছিলাম। এসময় স্টেশন বাজার এলাকায় পৌঁছালে মালেকের সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমার স্বজনরা প্রতিরোধ করে মাত্র। এসময় আমার ম্যানেজারসহ সুমন ও বাবু আহত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আহত সাব্বির, কাইফ ও বাবুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, শফিকুল ইসলাম মালেক ও আবুল ব্যাপারির সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল গুলো উদ্ধার করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।