ভোলায় দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. আমিনুল হক নোমানীকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে শোক র্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার হাটখোলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শোক র্যালি পূর্ব এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছিন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ভোলা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মাওলানা কামাল হোসেন, পৌর আমির মাওলানা জামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোলা জেলা উত্তর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, সহ-সভাপতি মাওলানা ওবায়েদ বিন মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তারিকুল ইসলাম তারেক, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আজাদী, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাকছুদুর রহমান, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর বেলায়েত হোসেন, জেলা শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি হাসান মিজানুর রহমান মিঠু ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
বক্তারা বলেন, হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এতে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। বক্তারা ভোলা সদর থানার ওসি হাসনাইন পারভেজ, পুলিশ সুপার শরিফুল হক এবং জেলা প্রশাসক আজাদ জাহানের অপসারণের দাবি জানান।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ভোলায় একের পর এক খুন হলেও কোনো হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন বা দ্রুত গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত মাওলানা নোমানীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নইলে তৌহিদী জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বৃহত্তর সমাবেশের ঘোষণা
বক্তারা আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে বৃহত্তর সমাবেশের ঘোষণা দেন।
পরে কালীনাথ রায়ের বাজার থেকে শোক র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।