বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ও লেখক ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাত ১০টায় ভোলার চরফ্যাশন কারামতিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসা ময়দানে ২য় নামাযে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়। নামাযে জানাযায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র দ্বিতীয় নামাযে জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ভোলা জেলা আমীর মাস্টার জাকির হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুর হক, ভোলা জেলা সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বড় ছেলে মুসান্নাহ প্রমুখ।

জানাযায় আরও উপস্থিত ছিলেন মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ'র পিতা মোজাম্মেল হক, দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের অফিস সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম, দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পী কল্যাণ ও দাওয়া বিভাগীয় দায়িত্বশীল রফিকুল হায়দার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন, ভোলা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জসিম উদ্দিন, দেশীয় সংসদ চট্টগ্রাম অঞ্চল দায়িত্বশীল ও সিসিএ সভাপতি সেলিম জামান, চকবাজার থানা জামায়াতের সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরী, হারুন হাওলাদার, সিসিএর নির্বাহী পরিষদ সদস্য আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ। আদর্শ পাড়া মোক্তাদির মোল্লা মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ রেখে গেছেন পিতা মোজাম্মেল হক (৯০) মাতা সৈয়দা খাতুন (৮০) স্ত্রী রাবেয়া বেগম, (তিন ভাই) আ. জ. ম. শহীদুল্লাহ ফিরোজ, আ. জ. ম. আহসান উল্লাহ আব্বাস, আ. জ. ম. রিদোয়ানুল্লাহ মুজাহিদ, আর (চার বোন) নূর জাহান, মাকসুদা বেগম, হাফসা বেগম ও হামিদা বেগম, দু'ছেলে মুসান্না ও মুয়াজ, তিন মেয়ে নুহা, নুসাইবা, জুমাইনাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, ভক্ত অনুরক্তসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী যারা স্মরণ করছে তার অসাধারণ অবদানকে। আল্লাহ্ তায়ালা তাকে কবুল করুন। এবং তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে আ'লা মাকান দান করুন, আমিন। এরআগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন তিনি।