জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বিপদ মুসিবত সব আল্লাহর পক্ষই আসে। বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করা মুমিনের কর্তব্য। সমাজের এক ভাই ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপর ভাইয়ের এগিয়ে আসা নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আর্ত মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। তাই যেকোন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ জন ব্যবসায়ী ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামর্থবানদের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ভাইদের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন চৌকিদেখী এলাকায় মসজিদ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ জন ব্যবসায়ীর মাঝে জামায়াতের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

বিমানবন্দর থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফরিদ আহমদের পরিচালনায় নগদ আর্থিক অনুদান প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, বিমানবন্দর থানা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মারুফ আহমদ চৌধুরী, সমাজসেবী মতিউর রহমান আহাদ, নুরুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুর রহমান সুমন ও ছাত্রনেতা মুন্না।

এসময় অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ অন্নপূর্ণা ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্তাধিকারী শ্রী তপন চন্দ্র সরকার, অর্কিড জেনারেল স্টোরের স্বত্তাধিকারী সোহেল আহমদ, তুষার এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী শাহ শামসুজ্জামান তুষার ও তাকওয়া স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো: আতিকুর রহমান মিছবাহের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য গত রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর চৌকিদেখী এলাকার মসজিদ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে ৪টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার দিন তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে মহানগর জামায়াতের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন।