খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নে বামনডাঙ্গা বাজার পুলিশ ক্যাম্প ও চাঁদপুর দাখিল মাদরাসা পর্যন্ত পুরাতন সড়ক নির্মাণ শেষ! দেড় কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত সড়কটি হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়েছে সাড়ে ৩ শত ফুট। নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করায় মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই ১০ ফুট চওড়া রাস্তার দুই তৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারদের দাবি বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাস্তাটির।

রূপসা উপজেলা এলজিইডি তথ্য সূত্রে জানা যায়, রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নে বামনডাঙ্গা বাজার পুলিশ ক্যাম্প ও চাঁদপুর দাখিল মাদরাসা পর্যন্ত পুরাতন সড়কটিতে নতুনভাবে কাজ করা হয়েছে ১৪৮৫ মিটার। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ১ কোটি ৫২ লাখ ২৮ হাজার ১১৫ টাকা ব্যয় ধরা সড়ক নির্মাণের টেন্ডার পান মেসার্স জারা ট্রেড এন্টারন্যাশনাল-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মো. জিলুর রহমান। পরে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করেন এসএম সালাউদ্দিন ও ওবাইদুল। অথচ কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কটির প্রায় সাড়ে ৩ শত ফুট ভেঙে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয় জুলাই মাসের প্রথম দিকে। কাজ চলমান অবস্থায় ফাটল এবং ভাঙন সৃষ্টি হয়। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। ফাটল দেখে স্থানীয় লোকজন কাজে বাধা দিলে, তা মান্য না করে দায়সারা ভাবে কাজ শেষ করা হয়।

ওই এলাকার আরও একজন বাসিন্দা মো. নান্নু মিনা বলেন, দায়সারা কাজ করার ফলে বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। সড়ক নির্মাণ কাজ সঠিক নিয়মে করলে এ ধরণের ভোগান্তি সৃষ্টি হতো না। পুরো সড়ক জুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে সোল্ডারের ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা অনেকবার বলে কয়ে এ রাস্তাটি পেয়েছি। কাজটি শুরু করলে ভেবেছিলাম গ্রাম থেকে এখন শান্তিমত রোগীবহন এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও চলাচলে সুবিধা পাবে। তা সম্পূর্ণ উল্টে পূর্বের অবস্থা থেকে আরও খারাপ হয়েছে।

পুকুর পাড় ভাঙার ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তালুকদার বাদশা মিঞা বলেন, দুইপাশে পুকুর মাঝ দিয়ে সড়কের ২০ ফুটের মত ভেঙে চলে গেছে। শুধুমাত্র ‘গাইড ওয়াল’ সঠিক নিয়মে না থাকায় বৃষ্টির পানির চাপ সহ্য করতে পারেনি। এখানে গাইড ওয়াল আরও উচু করে দিলে এ ক্ষতির মুখে পড়তে হত না।