বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় সুবিচার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।
তিনি বলেন, একেকটা রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এতে পরিবারগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগরী খালিশপুর থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় কার্যালয়ে ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ১৫ নং ওয়ার্ড আমীর মো. হিমেল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমামুল হাসান এর পরিচালনায় সমাবেশে
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন, খালিশপুর থানা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল। অন্যান্যের জামায়াত নেতা ফয়সাল হাসান, হাফিজুর রহমান, আবু ইউসুফ, মিজানুর রহমান, সুমন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, আসাদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মেহেদী হাসান, আবু ইউসুফ, আবু জাফর, মাহাবুবুর রহমান, মিজানুর রহমান, ফজলুল করিম, জোবায়ের হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সুমন হোসেন, হামিদ রানা, হাফেজ জিয়াউর রহমান, কবির হোসেন, শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, রুবেল, ছাত্রশিবির নেতা আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ৫ আগষ্টের পর আমাদের যে বিজয় হয়েছে তা চূড়ান্ত বিজয় নয়। ইহকালীন বিজয় অর্জনে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় এ দুনিয়ায় নয়। চূড়ান্ত বিজয় হলো শেষ বিচারের দিন জান্নাত লাভ।