রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত বাসস এর অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা এবং দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারি বর্তমান এমডি মাহবুব মোর্শেদকে অপসারণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে)। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডিইউজে নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেন, সরকার দ্রুত ব্যভস্থা না নিলে ডিইউজে অচিরেই বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এমডি মাহবুব মোর্শেদকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। একইসাথে ডিইউজে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)- এ বিরাজমান অনিয়ম- দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কার্যত অন্তর্বর্তী সরকার বিগত ফ্যাসিবাদী আমলের অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি এ সংস্থায় জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের শত শত কোটি টাকা লোপাটের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বিগত ফ্যাসিস্ট আমল থেকেই প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গত ১০ মাস ডিইউজে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে সরকারি এ সংস্থায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। কিন্তু সংস্থাটির বর্তমান এমডি মাহবুব মোর্শেদ দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনাকে আড়াল করে ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কারণ, তিনি নিজেও পূর্বের ধারাবাহিকতায় নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।

ফলে ডিইউজে ফ্যাসিস্ট আমলের অনিয়ম ও মাহবুব মোর্শেদের অপসারণের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় সবশেষ প্রধান উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা বরাবর পূর্বাপর ঘটনার উল্লেখ করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ এবং আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ডিইউজে কয়েক দফা কর্মসূচি স্থগিত করে।