বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, দেশের জনগণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সুখভোগ করতে পারেনি। জনসাধারণ দীর্ঘদিন তাদের ভোটাধিকার, ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার হারিয়েছিল। অনেক জীবন, আহত, পঙ্গুত্ব বরণের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। গুম, খুন, জুলুমের অবসান ঘটে স্বৈরাচার পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, জাতির স্বপ্ন পূরণে ৩৬ জুলাই চেতনার আলোকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী, সাবেক সফল কাউন্সিলর শফিউল আলমকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। সম্প্রতি বন্দর থানার ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-১১ আসনে শফিউল আলমের সমর্থনে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে স্থানীয় মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক সফল ওয়ার্ড কাউন্সিলর জননেতা শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও বন্দর থানা আমির মাহমুদুল আলম চৌধুরী, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি জাহিদ হোসেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন, জামায়াত নেতা আলতাফ হোসেন, আখতার উদ্দীন, এড. মোর্শেদ আলম, মোহাম্মদ আলী, ওয়ার্ড শিবিরের সভাপতি আফ্রিদি প্রমুখ।
প্রধান বক্তা শফিউল আলম বলেন, ৫৪ বছর যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে জনগণ আর তাদের চায় না। আগামীর সংসদ ইসলামের আলোকে পরিচালিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুল আলম বলেন, শফিউল আলমের মতো সৎ, যোগ্য এবং আদর্শবান ব্যক্তি সংসদে গেলে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হবে।