“আবেগই মানুষকে প্রেরণা দেয় এবং মানুষই কর্মক্ষমতাকে উদ্দীপিত করেএই প্রজ্ঞাময় স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী ও রূপান্তরমূলক সেমিনার। বুধবার (৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে “শিক্ষার্থীদের আবেগিক বুদ্ধিমত্তাকে ক্ষমতায়ন করার সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ: স্ট্রেস থেকে শক্তি শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
দুই পর্বে বিভক্ত এ সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বিকাল ৩টা ২০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ পর্যন্ত প্রথম পর্বে কৃষি অনুষদ ও গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়, আর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ থেকে রাত ৯টা ৪০ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স, ফিশারিজ, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং কৃষি ও জৈবসম্পদ প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশের অন্যতম প্রেরণাদায়ী বক্তা ও ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালটেন্সির চিফ ইন্সপাইরেশন অফিসার গোলাম সামদানি ডন। তিনি বলেন, “মানসিক চাপকে যদি আমরা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে শিখি, তবে সেটিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তিতে রূপ নিতে পারে। তিনি আবেগিক বুদ্ধিমত্তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সহানুভূতি এবং শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “এই গুণগুলোর অনুশীলনই একজন শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বে প্রস্তুত করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানসিক স্থিতিশীলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের চর্চা একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার পথ প্রশস্ত করে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসিথর পরিচালক প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভী।
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ, আত্মবিশ্বাসে অটুট থাকা এবং একটি সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য সদা সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও আবেগিক সক্ষমতা নিয়ে এ ধরনের সচেতনতামূলক আয়োজন নিঃসন্দেহে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন ও কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মত প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।