টাংগাইলে জুলাই বিপ্লবোত্তর প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও টাংগাইল জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদ।
১৬ আগস্ট (শনিবার) টাংগাইল জেলার সাধারণ গ্রন্থাগারে বিকেল ৫ টায় শুরু হয়ে বাদ মাগরিব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বন্ধন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদলের সভাপতিত্বে ও ওমর ফারুক জুবায়ের এর পরিচালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও প্যারেন্টিং কনসালটেন্ট ড. আহসান হাবীব ইমরোজ।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক রেজাউল হাসান চৌধুরী, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী, শহীদ মারুফের মা, শহীদ আশরাফুল্লাহর মা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই বিপ্লবোত্তর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এখনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, ধর্ষণ বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এগুলো কোন ভালো লক্ষণ নয়। এসব অনাচার থেকে জাতিকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র আল কুরআনের শাসন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে, কুরআনের পক্ষে রায় দিয়ে দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের আহবান জানান তিনি।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভারতকে সেরা সিইও উপহার দেওয়ার মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ভারতের শিক্ষা ও প্রযুক্তির যত উন্নয়ন তা মুসলমানদের হাত ধরেই বিকশিত হয়েছে। অথচ ভারতের সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলো বাংলাদেশের মানুষকে বিভাজিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বারবার।
তিনি দুঃখ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পার হলেও শহীদদের বিচারিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। বর্ষপূর্তিতে সীমিত শহীদ পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো কার ইশারায় তা বোধগম্য নয়। আবারও কোনো ষড়যন্ত্র হলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
শহীদ মারুফের মা তার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সামনের নির্বাচনে আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবো। শহীদ আশরাফুল্লার মা বলেন, আমার একমাত্র সন্তান সবসময় ন্যায় প্রতিষ্ঠার কথা বলতো। সে আরও বলতো দেশের জন্য যদি জীবনও দিতে হয় তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে বিরত থাকব না। আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করেছেন।