এফ আর মামুন, রাজৈর (মাদারীপুর) : মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করায় পরিকল্পিতভাবে প্রচার চালিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস সহ বিভিন্ন দলের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান প্রায় তিন যুগ ধরে এ আসনে একচ্ছত্র রাজত্ব করেছেন। তার পতনের পর এ আসনে নতুন মুখ সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও রাজৈর উপজেলা নিয়ে মাদারীপুর-২ আসন গঠিত। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও ইডেন কলেজের ভিপি হেলেন জেরিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য, সেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও নাজিমউদ্দীন কলেজের সাবেক ভিপি মাসুদ পারভেজ, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার শহীদুল ইসলাম খান। এসব নেতাকে ঘিরে বিএনপি কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাদারীপুর জেলার সাবেক আমীর ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহান খানকে ইতিমধ্যে এ দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহান্দার আলী জাহান বলেন , দীর্ঘ সময় আমি বিএনপির সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। একাধিকবার জেল খেটেছি, অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সেই হিসাবে শতবার নিশ্চিত আমি মনোনয়ন পাবো। অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মিল্টন বৈদ্য বলেন, আমি সবসময় মাঠে কাজ করেছি। আমি শতভাগ বিশ্বাস করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। মাসুদ পারভেজ বলেন, আমি দলের নাম ভাঙিয়ে কোথাও চাঁদাবাজি করিনি। আশা রাখি আমাকে বিএনপি মনোনয়ন দেবে। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুছ ছোবহান খান বলেন , আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। লিফলেট নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। জনগণের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। ইতিমধ্যে এ সংসদীয় আসনে প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশাকরি জনগণ এবার ইসলামের পক্ষের এমপি বানাবে।