DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

মৌলভীবাজার শহরের ফুটপাত ও রাস্তা দখলের ফলে যানজট চরমে

মৌলভীবাজার শহরে ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধ দখলের কারণে জেলা শহরে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। প্রবাসী অধ্যুসিত মৌলভীবাজার জেলা শহর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত।

জেলা সংবাদদাতা
Printed Edition
Default Image - DS

মৌলভীবাজার শহরে ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধ দখলের কারণে জেলা শহরে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। প্রবাসী অধ্যুসিত মৌলভীবাজার জেলা শহর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত। এ-গ্রেড এর এই শহরটিতে ফুটপাত রয়েছে ৬.৫০ কিলোমিটার। আর জনসংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে জেলার ৭ উপজেলা সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগমন ঘটে বিভিন্ন পেশার মানুষের। ফলে শহরের বেশিরভাগ সড়কের পাশের ফুটপাতগুলো দখলে থাকায় এসব ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেননা পথচারীরা। শহরের প্রধান সড়কগুলোর দু‘পাশের ফুটপাতের সিংহভাগই দখল করে চলছে অবৈধ ব্যবসা। যার ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভবন কিংবা মার্কেট মালিকরাও নিজেদের মালিকানায় থাকার কারণে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে সেখানে ছোট-খাটো অস্থায়ী দোকান ভাড়া দিয়ে পকেট ভারি করছেন বলে জানা গেছে। এমন দৃশ্য শহরের পশ্চিমবাজার, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, সাইফুর রহমান সড়ক, আদালত সড়ক, শমসেরনগর সড়ক টিসি মার্কেট এলাকা, কুসুমভাগ, বেড়ীরপার, সদর হাসপাতাল এলাকা ও শ্রীমঙ্গল সড়ক। পথচারী চলাচলের বৈধ ফুটপাতটি অবৈধ দখলের কারণে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয় পথচারীদের। মাসের পর মাস জুড়ে শহরের বেশিরভাগ ফুটপাত দখলের কারণে সড়কগুলোতে যানজট লেগেই আছে। বিষয়টি নিয়ে যাদের মাথা ব্যথা থাকার কথা সেই পৌর কর্তৃপক্ষও নীর্বিকার। বরং অবৈধ ফুটপাত দখলকারীদেও উচ্ছেদ না করে প্রতিদিন পৌরসভার নামেই আদায় হচ্ছে অর্থ। নামে মাত্র রসিদ দিয়ে রাস্তার উপড় দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যান থেকে আদায় করা হচ্ছে টাকা। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, শহরের কুসুমভাগ পয়েন্ট থেকে পেট্রোল পাম্প এলাকার ঢাকা-সিলেট সড়কের পাশের ফুটপাত দখল করে শতশত ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ির উপর বসেছে ফল,শাক-সবজি,বিস্কুট,কাপড় সহ অস্থায়ী নানা পণ্যের দোকান। প্রয়োজনে শহরে আসা লোকজন বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে মুল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। অবৈধ এমন কাণ্ড দীর্ঘদিন চলার কারণে তা একরকম নিয়মে পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু অস্থায়ী দোকানপাটই নয়, ঐ সড়কের বড় একটি অংশ স্থানীয় সিএনজি স্ট্যান্ডেরও দখলে। এর কারণে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই সড়কে যানজট আর দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র কুসুমভাগ এলাকায়ই বসে অন্তত দুইশতাধিক ভ্রাম্যমান দোকান। এসব ভ্রাম্যমান দোকান থেকে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহে দুদিন পৌর কর্তৃপক্ষ নাজমুল ইসলাম নামে তাদের এক প্রতিনিধির মাধ্যমে দোকান প্রতি ১৫০ থেকে ২শত টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করে থাকেন।জানা যায়, সাবেক মেয়র ফজলুর রহমান এর সময়কাল থেকেই এভাবে টাকা উত্তোলন হয়ে আসছে। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফেসিবাদের পুন হলে কিছু দিন অর্থ আদায় বন্ধ ছিলো। তবে ফের গণ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু হয় ফুটপাতের অবৈধ দোকান থেকে টাকা আদায়। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। টাকা আদায়ের দায়িত্বে থাকা পৌরসভার প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম নিজেই জানিয়েছেন শুধুমাত্র নবেম্বর মাসে কুসুমভাগ এলাকার ফুটপাত থেকে আদায় করা হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তবে পৌরসভার দ্বায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উত্তোলিত অর্থ পৌরসভার রাজস্ব খাতে জমা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বুলবুল আহমেদ জানান, ফুটপাত থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তিনি আরও,জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শহরের ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।