গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুরে ঈদের ছুটিকালে গত তিন দিনে সড়ক দুঘর্টনায় ৬জন নিহত হয়েছে। অপর দিকে নরসিংদীতে তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় সব মিলিয়ে ১৯ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।

আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে। ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে থাকা ৭ জন নিহত হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মারা যান।

নিহতদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন-দিলীপ বিশ্বাস(৪৩), সাধনা বিশ্বাস(৩৭), মো.ইউসুফ আলী(৫৭), আনিশা (১৪), লুৎফুন নাহার সুমি (৩৭), রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৮)। বাকিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গুরুতর আহত আছেন তিনজন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হন সাতজন। হাসপাতালে মারা যান তিনজন। এই তিনজনের মধ্যে একজন মারা যান লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অন্য দুজন মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের দ্রুতগতির যাত্রীবাহী একটি বাস চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকার মহাসড়কের একটি বাঁকে আসে। তখন চালক ‘হার্ড ব্রেক’ করতে গেলে বাসটির সামনের অংশ ঘুরে যায়। এতে বাসটি মহাসড়কে আড়াআড়ি হয়ে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির আরেকটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা বলছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওই অংশে পাহাড়ি উঁচু-নিচু সড়কে বেশ কিছু বাঁক আছে। এছাড়া লবণ ও মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে সেখানে সড়ক পিচ্ছিল থাকে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের বহনকারী যানবাহনের চালকরা এই সড়কে গাড়ি চালাতে অভ্যস্ত নন। ফলে তারা বাঁক ও ঢালু সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারান। অতিরিক্ত গতিও দুর্ঘটনার আরেক কারণ বলে পুলিশ মনে করছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন, বুধবার সকালে লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। তারা হলেন-একজন পুরুষ ও একজন কিশোরী। আহত আরেক শিশু, এক যুবক ও এক তরুণীকে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হাইওয়ে পুলিশের দোহাজারি থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আটজনের লাশ আছে। এদের মধ্যে সাতজন ঘটনাস্থলে মারা যান। একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচ তরুণ নিহত হন। আহত হন নয়জন। অন্যদিকে গতকাল ভোররাত ৪টার দিকে পর্যটকবাহী দুটি মাইক্রোবাস উল্টে ৯ আরোহী আহত হন।

হিতদের সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে

দুর্ঘটনাস্থালে সড়কের অসঙ্গতি চিহ্নিত করার নির্দেশ উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়ায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানকার সড়কের অসঙ্গতি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এই নির্দেশ দেন তিনি।

উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আজই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে এ বিষয়ে আলাপ করব। সড়কে কী অসঙ্গতি আছে তা সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের দেখতে বলেছি। তারা এখানে আছেন। উনারা দেখে দ্রুততম সময়ে করণীয় নির্ধারণ করে জানাবেন।

তিনি বলেন, “যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসা বাবদ ১৫ হাজার টাকা করে ইতোমধ্যে দিয়েছি। বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যদি আরো প্রয়োজন হয় সরকার সেটাও দেবে।”

“মর্মান্তিক, দুঃখজনক, বেদনাদায়ক এ ঘটনা আমাদের জাতিকে বিমর্ষ করেছে। আমরা স্বজনদের সাথে সমব্যথি। দীর্ঘ সময় ধরে বারবার এখানে দুর্ঘটনা হচ্ছে, শুধু এখানে নয় এই সড়কের অন্য অংশেও। চট্টগ্রাম থেকে আমাদের কক্সবাজার যেতে হলে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাগছে। আর ঢাকার লোকের ফ্লাইটে করে আধা ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাছে, এটা একটা ডিসক্রিমিনেশনও বটে। এগুলোরও অবসান হওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, আর এখানে যে বেপরোয়া গাড়ি চলছে, এগুলোর স্থান চিহ্নিত করে বিভিন্ন জায়গায় যথাযথ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা দরকার। সেটার জন্য সড়ক কর্তৃপক্ষ যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমি বলে যাচ্ছি।

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং সরকারিভাবে আরো ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এ সময় তার সাথে ছিলেন।

বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় চট্টগ্রামমুখী বাসের সাথে কক্সবাজারগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়।

আমাদের স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর জানান: ঈদের দিনসহ তিনদিনে গাজীপুরে পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য ও খালা-ভাগ্নিসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে সাতজন। একটি ঘটনায় উত্তেজিত জনতা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে।

নানার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে যাত্রার শেষ পরিণতি

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, ঈদের দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় সিএনজি আরোহী এক শিশু ও তার খালা নিহত হয়েছেন। এসময় নিহত শিশুর বাবা-মাসহ সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনা সোমবার গাজীপুর শহরের শিববাড়ি মোড়ে ঘটে। নিহতরা হলেন নরসিংদীর রায়পুরা থানার কালিকাপুর এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে শিউলি আক্তার (৪৫) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার সোহাপুর এলাকার আবুবকর সিদ্দিক জুয়েলের মেয়ে তাবাসসুম (৫)। আহতদের মধ্যে রয়েছেন নিহত শিশুর বাবা আবুবকর সিদ্দিক জুয়েল (৩৫), মা লিজা (২৩) এবং সিএনজি চালক। জানা গেছে, শিউলি আক্তার ও লিজা পরস্পরের খালাতো বোন ছিলেন। আবুবকর সিদ্দিক জুয়েল পরিবারসহ গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার আউটপাড়া রিয়াজনগর এলাকায় বসবাস করতেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি, কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ছুটি নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক পুলিশ কনস্টেবল। নিহত কনস্টেবল রনি শিকদার (২৬) টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার শাজাহানগঞ্জ ছোনাটি এলাকার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই আলমের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

ঈদের আগের দিন বাসচাপায় ঝরলো আরও দুই প্রাণ

ঈদের আগের দিন রবিবার (৩০ মার্চ) গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর দেউলিয়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও চারজন, যারা ঈদের ছুটিতে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার ফলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

অজ্ঞাত পথচারীর করুণ মৃত্যু ঐ একই দিনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানাধীন সাইবোর্ড এলাকায় দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় এক অজ্ঞাতপরিচয় পথচারী মারা যান। স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ওসি নজরুল ইসলাম দুর্ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ সকল দুর্ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া ফেলেছে এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নরসিংদী সংবাদদাতা জানান : নরসিংদীর পলাশ ও সদর উপজেলায় পৃথক তিন ঘটনায় তিনজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। পলাশ উপজেলার কর্তাতৈল গ্রামে চাঁদা না দেয়ায় সাকিব মিয়া (২০) ও তার সহদোর ভাই রাকিব মিয়া (২৫)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাদের বাঁচাতে গেলে মা ও বাবাকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। মুমুর্ষ অবস্থায় দুই ভাইকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনার পর সাকিব নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। অপর ভাই রাকিবকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মা বাবা দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পলাশ উপজেলার ভাগদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাকিব মিয়া ও তার ভাই রাকিব মিয়া পলাশের কর্তাতৈল গ্রামের আশ্রাফ উদ্দিনের ছেলে। আহত হয়েছেন নিহতদের পিতা আশ্রাফ উদ্দিন ও মা রাবেয়া খাতুন। তবে পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে পলাশের ভাগদি গ্রামের লোকজন সকালে একজনকে গনধোলাই দিয়েছে। এদিকে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত রাকিব ও তার পিতা আশ্রাফ উদ্দিন বিদেশে লোক পাঠাতো। তাই এলাকার দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল একদল দুর্বৃত্ত। কিš‘ তারা চাঁদা দিতে রাজি হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে সাকিব ও তার বন্ধুরা ঘুরতে বের হয়। তারা কর্তাতৈল এলাকায় বেড়াতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা সাকিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। নিহতের চাচি হাজেরা বেগম বলেন, এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত দীঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় আজকে ঈদের দিন ঘুরতে গেলে সন্ত্রাসীরা সাকিব ও রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। পলাশ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, চোর সন্দেহে পলাশের ভাগদি গ্রামের লোকজন সকালে একজনকে গনধোলাই দিয়েছে। পরে রাতেও চোর সন্দেহে কয়েকজনকে গনধোলাই দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে। অপর আহত ৩ জনকে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেয়ার পথে আরো একজন মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ ভাগদী এলাকার পাভেল, খবির ও উসমান নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানা পুলিশ।

অপর এক ঘটনায় নরসিংদী সদর উপজেলার চর হাজিপুরে অটো চোর সন্দেহে এক যুবক পিটিয়ে হত্যার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম আক্তার মিয়া(৩০)। তিনি বাদুয়ারচর এলাকার নাসিরুদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে আক্তারকে অটো চোর সন্দেহে রাজিব মেম্বার ও তার লোকজন আটক করে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্তারকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।