ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে চলমান মিথ্যাচারের প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নিউমার্কেটস্থ বায়তুন নূর মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগরী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী ও খুলনা জেলা উত্তরের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির। অন্যান্যেও মধ্যে ইসরাফিল হোসেন, আসিফ বিল্লাহ, এস এম বেলাল হোসেন, আহমেদ সালেহীন, কামরুল হাসান, আব্দুর রশিদ, হাফেজ মুজাহিদুল হক, গোলাম মুয়িজ্জু, ইমরানুল হক, সেলিম হোসেন, সুলাইমান আবিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুকাররম বিল্লাহ আনসারী বলেন, ছাত্রশিবির সর্বদা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। আর সে লক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকেই ছাত্রশিবিরের দাবি ছিল-প্রত্যেকটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সাংগঠনিক দেউলিয়াত্বের কারণে ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসুসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি কুচক্রী মহল। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি, সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সকল ক্যাম্পাসে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আরাফাত হোসেন মিলন বলেন, ছাত্রদলের ইতিহাস হচ্ছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী ধর্ষণ, দলীয় কোন্দলে নিজ ভাইকে হত্যা করার ইতিহাস। ছাত্রলীগের পথ অনুসরণ করলে ছাত্রদলের পরিণতিও ফ্যাসিস্টদের মতো হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে পতিত ফ্যাসিস্টের উগ্র শ্লোগানগুলো আজ চর্চা হচ্ছে। বিগত দিনে 'জবাই করার রাজনীতি' যারা করেছে, বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি। তাই, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। জুলাই আন্দোলনের মতো ছাত্রসমাজ আবারও জেগে উঠলে ক্যাম্পাসগুলোতে সংঘটিত অন্যায় ও অপরাধ শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।